১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান আত্মসমর্পণ করার পর জাপানের চারটি দ্বীপ দখল করে তৎকালীন সোভিয়েত ও বর্তমান রুশ সেনারা।
এরপর থেকে ওই দ্বীপগুলোর দেখাশুনা করে আসছে রাশিয়া। কিন্তু জাপানও এ দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে আসছে।
এ চারটি দ্বীপ নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য শান্তি চুক্তির আলোচনা করছিল রাশিয়া ও জাপান।
কিন্তু সোমবার রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাপানের বিরাগপূর্ণ আচরণের জন্য তারা এ আলোচনা আর এগিয়ে নেবে না।
সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া এ মূহুর্তে জাপানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নয়।
রাশিয়ার দেওয়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এমন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়, যে দেশ প্রকাশ্যে বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং আমাদের ক্ষতি করতে ও স্বার্থবিরোধী কাজ করতে মুখিয়ে আছে।
তবে রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা।
মঙ্গলবার দেশটির সংসদে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিসিদা বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আর এ হামলার বিষয়টি জাপান-রাশিয়া সম্পর্কের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। জাপান এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি রাশিয়াকে হুশিয়ারি দেন তারা বিশ্বের অন্যদেশগুলোর সঙ্গে এক হয়ে আন্তর্জাতিক আইন ও বিচার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবেন।
এদিকে এ চারটি দ্বীপের বাসিন্দা ও জাপানি নাগরিকরা ভিসা ছাড়া আসা-যাওয়া করতে পারতেন। রাশিয়া এ সুযোগও বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।